Sobre este aplicativo
নামায নবীজী ﷺ এর প্রিয় ইবাদত। নবীজী ﷺ সাহাবা কেরামকে বলেছেন, ‘তোমরা সেভাবে নামায পড়ো, যেভাবে আমাকে পড়তে দেখেছো। আমরা স্বচক্ষে নবীজী ﷺ কে নামায পড়তে। নবীজীর নামায কেমন ছিলো জানার সর্বোচ্চ মাধ্যম কুরআন-কুরআন, আর কুরআন-সুন্নাহর বাস্তবরূপ হিসেবে সাহাবা কেরামের আমল.নবীজী ﷺ থেকে নামায সংক্রান্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছে। হলো সত্য হলো, নামাযের মৌলিক বিষয়াবলী এক; এতে না বিভিন্নতা রয়েছে না মতভিন্নতার সুযোগ তবে শাখাগত কিছু বিষয়ে বিভিন্নতা রয়েছে। রয়েছে মতভিন্নতার অবকাশ
কারণ, হয়তো নবীজী থেকে বর্ণিত হাদীসই রকম ', অথবা হাদীসের বক্তব্য বা প্রামাণ্যতা অস্পষ্ট। আর হাদীসের এই জট শুধু মুজতাহিদ ইমামই খুলতে পারেন। অন্য ব্যক্তির এ বিষয়ে কথা মানেই নবীজীর আদর্শ ও থেকে থেকে পড়া।
# হাদীসে জটিলতা ও আমাদের দায়িত্ব
আল্লাহ ও নবীজী ﷺ এ আমাদের দায়িত্ব স্থির করে দিয়েছেন. বলেছেন, ‘আহলে’ ‘মুজতাহিদ কে করো। তাদের থেকে জেনে আমল করো। যে বাহুল্য যে, সর্বক্ষেত্রে মুজতাহিদ পাওয়া দুষ্কর। তাই নবীজী ﷺ এর সুন্নাহ দলিলের আলোকে নামাযের পূর্ণাঙ্গ রূপ ও বিধান সংকলন ছিলো যুগের চাহিদা.
প্রয়োজনীয়তা বিচার করেই বড় বড় ও মুজতাহিদগণের সমন্বয়ে একটি গঠন গঠন ইমাম আবূ হানীফা. । কুরআন-সুন্নাহ্ ও অন্যান্য মন্থন করে সর্বস্বীকৃতভাবে নামাযের পদ্ধতি ও অন্যান্য বিধান সংকলন করেন. তাদের সংকলনে নবীজী ﷺ এর পূর্ণাঙ্গ বিধান ও রূপ ফুটে ওঠে।
এ সংকলনকে সমর্থন করেন এবং ফাতওয়া দেন যুগশ্রেষ্ঠ মুজতাহিদ হাফিযুলহাদীস হাফিযুলহাদীস ¬¬। ইমাম সুফিয়ান ছাওরী, ইমাম ইবনে মাঈন, ইমাম ওকী, ইমাম ইবনুল মুবারক, ইমাম ইয়াহইয়া বিন সাঈদ, ইমাম আবূ যুরআসহ আরো অনেক প্রবীণ মুহাদ্দিস রাহ. ।
অদ্যাবধি ভারতীয় উপমহাদেশসহ ইসলামী দুনিয়ার মুসলমানগণ সেভাবেই আমল করে আসছেন. দীপ্তিমান যুগ ধরে গবেষণা ও পর্যালোচনা হওয়া সত্ত্বেও দীপ্তিমান; আজো তা কুরআন-সুন্নাহ্র উপরই প্রতিষ্ঠিত।
নামাযের বিবরণ আরো অনেক ইমামই লিপিবদ্ধ করেছেন পুস্তিকা আকারে প্রকাশিতও হয়েছে যাতে রয়েছে কিছু বিভিন্নতা ও মতভিন্নতা।
# বিভিন্ন পদ্ধতি ও আমাদের করণীয়
বিভিন্ন পদ্ধতির ক্ষেত্রে আমাদের করণীয়, নবীজী ﷺ তাও শিক্ষা দিয়ে গেছেন। যেমন, নবীজী ﷺ মদীনায় শিক্ষা দিয়েছেন এক রকম। রা আবূ মাহ্যুরা রা. কেও তিনি আযান শিক্ষা দিয়েছেন, কিন্তু তার আযান ছিলো ভিন্ন রকম। তাহলে আযানের দুই পদ্ধতি হলো। কিন্তু নবীজী ﷺ কখনোই কথা যে, যে মসজিদের আযান এক রকম হতে, বা একই মসজিদে উভয় পদ্ধতিতেই আযান হতে।
সর্বোপরি নবীজী ﷺ মক্কার আযান মদীনায় চালু। এমনিভাবে মদীনার আযান মক্কায় চালু করেননি। তাই উভয়টাকে স্ব-স্ব স্থানে রাখাই হলো নববী আদর্শ ও নবীজীর সুন্নাহ্.
অনুরূপ নবীজী ﷺ এর সুন্নাহ্র দাবী, মদীনার নামায মদীনায়, মক্কার নামায মক্কায় এবং কূফার নামায কূফায় বলবৎ রাখা. কারণ সবগুলোই নববী নামাযের পদ্ধতি। এভাবেই রেখে গেছেন পর্যায়ক্রমে চার খলীফা।
যে জানি যে, হযরত আবূ হানীফা রাহ. এর উক্ত বোর্ডকর্তৃক নবীজী ﷺ নামাযের সংকলন আমদের যুগ যুগ ধরে প্রতিষ্ঠিত, যা বহাল রাখাই নবীজী ﷺ এর আর্দশ ও।। বর্তমানে সব পদ্ধতিগুলোকে সমন্বয় করার করা মানেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা এবং সুন্নাহ্র বিরোধিতা করা.
এ বিভিন্নতা মূলত আল্লাহ পর্যন্ত বিভিন্ন শাখা-পথ। আল্লাহ তাআলা নিজেই বলেছেন, আমার প্রতি আগ্রহীকে আমি শাখা-পথ দেখাবো।
ভাই মুসলিম ভাই,
এই পদ্ধতিই ‘সহীহ ও ’সংক্ষেপে আপনার সামনে পেশ করছি। বিস্তারিত দলিল ও বিধানের স্তরবিন্যাস জন্য “আপনার নামায” সহ সংশ্লিষ্ট কিতাব পড়ার অনুরোধ রইলো.
যদি কেউ সংকলিত ভিন্ন পদ্ধতি দেয় তাকে বিনয়ের সাথে বলবেন, আমার কাছেও একটি সংকলিত পদ্ধতি রয়েছে, দলিলও রয়েছে। তাই মক্কার আযান মক্কায় রাখুন নবীজী ﷺ রেখেছেন। বেশি কৌতূহল থাকলে বিজ্ঞ আলেমের গিয়ে মীমাংসা করে আসুন। নয় নয়, কল্যাণকামিতাই দ্বীন।