নবীজীর নামায - সালাতুর রাসুল

নবীজীর নামায - সালাতুর রাসুল

  • آخرین نسخه
  • Markazul Quran (মারকাযুল কুরআন)

সুন্নাহ‘র আলোকে নামাযের সংক্ষিপ্ত

درباره این برنامه

নবীজী ﷺ এর প্রিয় ইবাদত। ﷺ সাহাবা কেরামকে ‘তোমরা ، ‘তোমরা সেভাবে নামায যেভাবে ، যেভাবে আমাকে পড়তে দেখেছো স্বচক্ষে নবীজী ﷺ কে নামায পড়তে দেখিনি। নবীজীর নামায কেমন ছিলো তা জানার সর্বোচ্চ মাধ্যম হলো সুন্নাহ-সুন্নাহ ، আর কুরআন-সুন্নাহর বাস্তবরূপ হিসেবে সাহাবা কেরামের আমল।

ﷺ থেকে নামায সংক্রান্ত অসংখ্য হাদীস বর্ণিত হয়েছে। সত্য হলো ، নামাযের মৌলিক বিষয়াবলী এক؛ না বিভিন্নতা রয়েছে না মতভিন্নতার সুযোগ। শাখাগত কিছু বিষয়ে বিভিন্নতা রয়েছে। মতভিন্নতার অবকাশ।

কারণ ، হয়তো নবীজী ﷺ বর্ণিত হাদীসই দু রকম ، অথবা বক্তব্য বক্তব্য বা প্রামাণ্যতা অস্পষ্ট। হাদীসের এই জট শুধু একজন মুজতাহিদ ইমামই খুলতে পারেন। ব্যক্তির এ বিষয়ে কথা বলা মানেই নবীজীর আদর্শ ও সুন্নাহ থেকে ছিটকে পড়া।

# হাদীসে জটিলতা ও আমাদের
ও নবীজী ﷺ এ ক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব স্থির করে দিয়েছেন। বলেছেন ، ‘আহলে যিক্যিক্র তথা‘ মুজতাহিদ কে করো। থেকে জেনে আমল করো। বলা বাহুল্য যে ، সর্বক্ষেত্রে মুজতাহিদ পাওয়া দুষ্কর। নবীজী ﷺ এর সুন্নাহ ও দলিলের আলোকে নামাযের পূর্ণাঙ্গ রূপ ও বিধান সংকলন ছিলো যুগের চাহিদা।
বিচার করেই বড় বড় মুহাদ্দিস ও মুজতাহিদগণের সমন্বয়ে একটি বোর্ড গঠন করেন ইমাম আবূ হানীফা রাহ. . কুরআন-সুন্নাহ্ ও অন্যান্য দলিল মন্থন করে সর্বস্বীকৃতভাবে নামাযের পদ্ধতি ও অন্যান্য বিধান সংকলন করেন। সংকলনে নবীজী ﷺ এর নামাযের পূর্ণাঙ্গ বিধান ও রূপ ফুটে ওঠে।
সংকলনকে সমর্থন করেন এবং তদনুযায়ী ফাতওয়া দেন যুগশ্রেষ্ঠ মুজতাহিদ ও হাফিযুলহাদীস ইমামগণ ¬¬। ইমাম সুফিয়ান ছাওরী ، ইমাম ইবনে মাঈন ، ইমাম ওকী ، ইমাম মুবারক ، মুবারক ইয়াহইয়া বিন সাঈদ ، ইমাম আবূ যুরআসহ আরো অনেক প্রবীণ মুহাদ্দিস. .
ভারতীয় উপমহাদেশসহ ইসলামী দুনিয়ার অধিকাংশ মুসলমানগণ সেভাবেই আমল করে আসছেন। যুগ ধরে গবেষণা ও পর্যালোচনা হওয়া সত্ত্বেও দীপ্তিমান؛ তা কুরআন-সুন্নাহ্সুন্নাহ্র উপরই প্রতিষ্ঠিত।
বিবরণ আরো অনেক ইমামই লিপিবদ্ধ করেছেন। আকারে প্রকাশিতও হয়েছে। রয়েছে কিছু বিভিন্নতা ও মতভিন্নতা।

# বিভিন্ন পদ্ধতি ও আমাদের
বিভিন্ন পদ্ধতির ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় নবীজী ، নবীজী ﷺ তাও শিক্ষা দিয়ে গেছেন। যেমন ، নবীজী ﷺ মদীনায় আযান শিক্ষা দিয়েছেন এক রকম আবূ মাহ্মাহ্যুরা. কেও তিনি আযান শিক্ষা কিন্তু ، কিন্তু তার আযান ছিলো ভিন্ন রকম। আযানের দুই পদ্ধতি হলো। নবীজী ﷺ কখনোই বলেননি যে ، সকল মসজিদের রকম হবে বা ، বা একই উভয়
নবীজী ﷺ মক্কার আযান মদীনায় চালু করেননি। মদীনার আযান মক্কায় চালু করেননি। তাই উভয়টাকে স্ব-স্ব স্থানে বাকী রাখাই হলো নববী আদর্শ ও নবীজীর সুন্নাহ্।
অনুরূপ নবীজী ﷺ এর সুন্নাহ্ র দাবী হলো ، মদীনার নামায মদীনায় ، মক্কার নামায মক্কায় এবং কূফার নামায কূফায়। সবগুলোই নববী নামাযের পদ্ধতি। রেখে গেছেন পর্যায়ক্রমে চার খলীফা।
আমরা জানি যে ، হযরত আবূ হানীফা. উক্ত বোর্ডকর্তৃক নবীজী ﷺ এর নামাযের সংকলন আমদের মাঝে যুগ যুগ ধরে যা، যা বহাল রাখাই নবীজী ﷺ ﷺ সব পদ্ধতিগুলোকে সমন্বয় করার চেষ্টা করা মানেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা এবং সুন্নাহ্ র।
বিভিন্নতা মূলত আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছার বিভিন্ন শাখা-পথ আল্লাহ তাআলা নিজেই বলেছেন ، আমার প্রতি আগ্রহীকে আমি বিভিন্ন শাখা-পথ দেখাবো।

মুসলিম ভাই ،
এই পদ্ধতিই ‘সহীহ ও হাদীসসহ সংক্ষেপে আপনার আপনার পেশ করছি। আপনার দলিল ও বিধানের স্তরবিন্যাস জন্য ‍ আপনার আপনার আপনার সহ সহ সংশ্লিষ্ট কিতাব পড়ার অনুরোধ রইলো।
কেউ সংকলিত ভিন্ন পদ্ধতি দেয় তাকে বিনয়ের বলবেন বলবেন ، আমার কাছেও একটি সংকলিত পদ্ধতি রয়েছে ، দলিলও রয়েছে মক্কার আযান মক্কায় রাখুন যেমনটি নবীজী ﷺ রেখেছেন। কৌতূহল থাকলে বিজ্ঞ আলেমের কাছে গিয়ে মীমাংসা করে আসুন। নয় ، কল্যাণকামিতাই দ্বীন।

نسخه ها নবীজীর নামায - সালাতুর রাসুল